রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৯:২০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
রায়হানকে হত্যায় আরও এক পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

রায়হানকে হত্যায় আরও এক পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

স্বদেশ ডেস্ক:

সিলেট নগরের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় হারুনুর রশিদ নামে আরও এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সিলেট পুলিশ লাইন্স থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এর আগে কনস্টেবল টিটু চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পাঁচদিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হারুনুর রশিদকে গতকাল রাতে সিলেট পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড চাওয়া হবে।

গ্রেপ্তার হারুনুর রশিদ বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় গত ১৩ অক্টোবর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে রায়হানের মৃত্যু হয়। তিনি সিলেট নগরের আখালিয়ার নেহারিপাড়ার বিডিআরের হাবিলদার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। নগরের রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে চাকরি করতেন রায়হান।

এ ঘটনায় গত ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু আইনে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। মামলাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়। তদন্তভার পাওয়ার পর পিবিআইয়ের টিম ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, নগরের কাষ্টঘর, নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে। সর্বোপরি মরদেহ কবর থেকে তোলার পর পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়।

নিহত রায়হানের মরদেহে ১১১ আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে। এসব আঘাতের ৯৭টি ফোলা আঘাত ও ১৪টি ছিল গুরুতর জখমের চিহ্ন। এসব আঘাতগুলো লাঠি দ্বারাই করা হয়েছে। অসংখ্য আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারানোর কারণে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় গত ২০ অক্টোবর দুপুরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় ওই ফাঁড়ির পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। টিটু বন্দরবাজার ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। রায়হানের মৃত্যুর জন্য দায়িত্বহীনতার দায়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূইয়া, পুলিশ সদস্য টিটুসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে তাদের পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।

এ ছাড়াও গত ২১ অক্টোবর এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (সাময়িক বরখাস্ত) উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে ফাঁড়ি থেকে পালাতে সহায়তা করা ও তথ্য গোপনের অপরাধে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির টু আইসি এসআই হাসান উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877